জামিয়া সম্পর্কে

জামিয়া শাইখুল ইসলাম হোসাইন আহমাদ মাদানী রহ.

জামিয়ার আর্দশ ও মূলনীতি

• (ক) উক্ত জামিয়া শাইখুল ইসলাম হোসাইন আহমাদ মাদানী রহ. আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত হানাফী মাযহাবের অনুসারী এবং দেওবন্দী বুজর্গাণে দ্বীনের মতাবলম্বী হবে। এবং মাসলাকে বানিয়ে দারুল উলুম দেওবন্দ কুতুবুল আকতাব হযরত মাওলানা রশিদ আহমাদ গংগুহী, হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত মাওলানা কাসিম নানূতুবী, শাইখুল হিন্দ হযরত মাওলানা মাহমুদ হাসান দেওবন্দী এবং শাইখুল ইসলাম হযরত মাওলানা সাইয়্যিদ হোসাইন আহমাদ মাদানী রহ. গণের কর্মজীবন, চিন্তাধারা, ইখলাস, লিল্লাহিয়াত ও আখলাকের সাথে আন্তরিকতার বর্হিপ্রকাশ হতে হবে। এ প্রতিষ্ঠানকে কখনো সরকারী অনুদান ভূক্ত বা সরকারী মাদ্রাসা বানানো যাবে না। ইহা জনগণের অনুদানে চলবে।
• (খ) জামিয়ার আদর্শ (যা ক-এ উল্লেখ করা হয়েছে) এর সংরক্ষণ ও হেফাজত করা জামিয়ার প্রত্যেক শুরা, আমেলার সদস্য, শিক্ষক, কর্মচারী ও জামিয়ার সহিত সংশ্লিষ্ট অপরাপর সকলের পবিত্র দায়িত্ব।
• (গ) জামিয়ার শিক্ষাদান ব্যবস্থা দ্বীনি শিক্ষায় পারদর্শী বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম কর্তৃক রচিত মূলনীতি মোতাবেক হবে এবং উহার সংস্কার উন্নতি ও তরবিয়াতের বেলায়ও এমনসব নীতি অবলম্বন করা হবে যা অতীতের বুজর্গাণে দ্বীনের ছিল।
• (ঘ) কোন শিক্ষক, কর্মচারী কিংবা ছাত্রের জন্য এমনসব প্রতিষ্ঠান ও সভা-সমিতিতে যোগদান করা নিষিদ্ধ থাকবে যা জামিয়ার আদর্শ, উদ্দেশ্য ও স্বার্থের পরিপন্থি’ হয়। বিশেষ পরিস্থিতির উদ্ভব হলে উহা জামিয়ার আদর্শ, উদ্দেশ্য ও স্বার্থের পরিপস্থি কিনা মুহ্তামিম ও সদরুল মুদাররিসীন পরস্পর বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন। তাদের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মুহতামিম কোন নির্দেশ জারী করিলে উহা বাস্তবায়নের জন্য সহযোগীতা করা সকল শিক্ষক ও জামিয়ার সহিত সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তির পবিত্র দায়িত্ব বলে পরিগণিত হবে।